করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন আরও সাত দিনে বাড়ালেও খুলে দেয়া হয়েছে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ আন্তজেলা সব ধরনের গণপরিবহন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সব ধরনের গণপরিবহন চলবে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ছাড়া খুলে দেয়া হয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ। সেসব খোলা রাখার শর্ত হিসেবে অর্ধেক আসনে সেবা দিতে হবে মালিকদের।
- আরও পড়ুন: মহাসড়কে বেড়েছে দূরপাল্লার বাস
দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। অবশ্য ঈদের আগে ৬ মে জেলার অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য বাসসহ কিছু পরিবহন খুলে দেয়া হলেও লঞ্চ এবং ট্রেন বন্ধই রাখা হয়। ‘
৩ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ৬ মে থেকে মেট্রোপলিটন এলাকায় গণপরিবহন খুলে দেয়া হলেও বন্ধ রাখা হয় দূরপাল্লার সব গাড়ি।
- আরও পড়ুন: পুলিশ আটকে দিচ্ছে দূরপাল্লার বাস
দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চালুর দাবিতে ঈদের আগে থেকেই বাস-লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করে দূরপাল্লার এসব পরিবহন চালুর দাবি জানায় সরকারের কাছে।
ঈদের দিনেও সারা দেশে বিক্ষোভ করে বাস-লঞ্চ মালিক-শ্রমিকরা। সর্বশেষ লঞ্চ মালিকরা গতকাল শনিবারও সরকারের কাছে লঞ্চ চালুর দাবি জানায়।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে ৫ এপ্রিল থেকে সরকার লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন দেয়।
কিন্তু করোনা শনাক্তের সংখ্যা তখন সর্বোচ্চ হারে পৌঁছালে নতুন করে আবারও বিধিনিষেধ বাড়ায় সরকার। সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ‘কঠোর’ বিধিনিষেধসহ ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন আরোপ করা হয়।
তখন থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় অভ্যন্তরীণ রুট ও আন্তর্জাতিক রুটের বেশ কিছু ফ্লাইটও। পরে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় সরকার।
এর মধ্যে আরও এক দফা বাড়িয়ে লকডাউনের মেয়াদ করা হয় ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত। তা শেষ হওয়ার দুই দিন আগে ১৬ মে পর্যন্ত এই লকডাউন বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
সেটি শেষ হওয়ার দিন চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৩ মে বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।